সেরা এবং সফল ১১ জন সেনাপতি
একটি বিশাল সম্রাজ্য স্থাপন করতে যেটি খুব প্রয়োজন তা হল যুদ্ধ। আর যুদ্ধকরতে সবচেয়ে বেশি কি প্রয়োজন সেটা নিরুপন করতে আমি যা্চ্ছি না। তবে আমি যতটুকু জানি একজন বিচক্ষন এবং সফল সেনাপতি যে কোন সময় একটা অসম যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। তাতে তার সৈন্য সংখ্যা বা অস্ত্রপাতির হিসাব করার প্রয়োজন পরে না।
আমার চোখে পৃথিবির সেরা ১১ জন সেনাপতি। আসলে আমি অনলাইনে স্টাডি করে যা বুঝেছি তাই এখানে লিখেছি। যদি আপনার মতের সাথে না মিলে তবে কমেন্টে বলতে পারেন।
এবার আসুন দেখি কারা তারা এবং তারা কি করেছিলেন।
১০) Saladin (1137/1138 – March 4, 1193)

পুরো নাম সালাহ আদ-দীন ইউসুফ ইব্ন আইউব। তিনি মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান এবং আইয়ুবি ডাইনাস্টির স্থপতি ছিলেন। তিনি একটি যোদ্ধা পরিবার থেকে আগত ছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রে তার সবচেয়ে বড় সফলতা ছিল খ্রিস্টান ক্রুসেডারদের হাত থেকে পবিত্র আলকুদস পুনরুদ্ধার করা। তিনি একা পুরো ইউরোপ এর সামনে যুদ্ধ করে ফিলিস্তিন এবং পবিত্র ভুমি জেরুজালেম পুনরুদ্ধার করেন। তিনি তার যুদ্ধপরিকল্পনা করতে খুব ঠান্ডা মাথায় এবং তার প্রয়োগ করতেন খুব দ্রুত। বলা হয়ে থাকে তিনি তার বন্দিদেরকে খাবার দিতেন এবং অনেককে ছেরে দিতেন যদিও তারা তার অনেক শুভানুদ্যায়িদের হত্যা করেছে। তার এই মহৎগুনের জন্য অনেক খ্রিস্টান বন্দি মুসলমান ধর্মে দিক্ষিত হতেন। তিনি তখনকার একটি বড় সমস্যা Assassins দের কঠোর হাতে দমন করেছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রে তার উদারতা এবং ক্ষমাশিলতা এখনো লোকগাথা হয়ে আছে।
০৯) Erwin Rommel the Desert Fox (15 November 1891 – 14 October 1944)

আমার এই লিস্টের একমাত্র আধুনিক সেনাপতি। হিটলারের নাৎজি সেনাবাহিনির একজন সেনাপতি ছিলেন। তিনি একই সাথে তার এবং শত্রু পক্ষের সেনাবাহিনিতে সম্মানের চোখে ছিলেন। একমাত্র তার আন্ডারে কোন যুদ্ধে সেনাবাহিনি যুদ্ধপরাধ করেনি। তিনি তার বুদ্ধিমত্তা এবং সাহস দিয়ে হিটলারকে একটা বিশাল সম্রাজ্য উপহার দিয়েছিলেন। এবং উপহার দিয়েছিলেন অভুতপুর্ব সব বিজয়। রোমেল এর সুক্ষরনকৌশলে আফ্রিকা অঞ্চল জার্মানদের হাতে প্রায় দখল হয়ে গিয়েছিল। ধারনা করা হয় হিটলার যদি তার কথা শুনতেন তাহলে ইতহাস অন্যভাবে লেখাহতে পারত। তিনি পোল্যন্ড, ফ্রান্স এবং দ্বিতীয় পান্জার ডিভিশনে এবং সর্বশেষ আফ্রিকা অঞ্চলের দায়িত্বে ছিলেন।
০৮) Tran Hung Dao (1228–1300)

যদি যুদ্ধজয় এবং নির্মমতার দিক দিয়ে মোঙ্গল সেনাবাহিনি এক নাম্বার হয় তবে তাদের এক বার নয় দুই বার নয় তিন তিন বার পরাজিত করা এই জেনারেল কে ক্রেডিট না দিলে ভুল হবে। তিনি আধুনিক ভিয়েতনামের বাসিন্দা ছিলেন। এর মধ্যে চেঙ্গিস খানের বংশধর কুবলাই খানেরসেনাবাহিনির হামলার জবাবে তাদের খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এবং সেটি ছিল পৃথিবীর ইতিহাসের সেরা সামরিক কৃতিত্বর একটি। তার সামরিক জ্ঞানের তুলনা খুবই দেখা যায়। এতবড় এবং এবং এত শক্তিশালি এক সেনাবাহিনিকে তিন তিন বার রুখেদেয়া খুব সহজ কাজ নয় তা বোদ্ধারা খুব ভাল ভাবেই বুঝবেন।
০৭) Julius Caesar (July 100 BC – 15 March 44 BC)

রোমান সম্রাজ্যের জেনারেল এবং একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন। তিনিই মুলত রোমান সম্রাজ্যের ব্যাপ্তি বিশাল করেন। তিনি প্রায় ৫ লক্ষ জার্মানদের হত্যা করেন যারা রোমান বর্ডার ক্রস করতে চেয়েছিল। তার সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন অর্জন ছিল এলিসিয়া দখল করা। তিনি আধুনিক ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড দখল করেছিলেন। তিনি পম্পেই এবং মিশরের সেনাবাহিনিকে পরজিত করেছিলেন। অল্প সাপ্লাই, কম সৈন্যসংখ্যা, বার বৈরি আবহাওয়া কোন কিছু তার জয়ের জন্য বাধা হয়ে দারাতে পারত না।
০৬) Khalid ibn al-Walid (592–642)

রাসুল স: এর সাহাবি হজরত খালিদ ইবন আল ওয়ালিদ রা: আ: ছিলেন পৃথীবির সবচেয়ে শক্তিশালি সেনাপতি। তিনি তার প্রথম জীবনে মক্কার একজন মুর্তিপুজারি কুরাইশ ছিলেন যিনি ওহুদ যুদ্ধে প্রায় মুসলিম বাহিনিকে পরজিত করে দিয়েছিলেন এবং রাসুল স: কে হত্যা করাতে চেয়েছিলেন। ইসলামধর্ম গ্রহন করার পর তিনি পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামের ঝান্ডা উত্তলনে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করেন। ওনাকে সাইফুল্লাহ বা আল্লাহর তরবারি বলা হত। তিনি মুলত লাইমলাইটে আসেন মুতার যুদ্ধে । যখন রাসুল স: তিনজন সেনাপতি নির্ধারন করেদেন এবং তারা তিনজনই শহিদ হলে যোগ্য কোনলোককে ঝান্ডা তুলো ধরার আহ্বান করেন। তখন তিনজনই শহিদ হলে খালিদ বিন ওয়ালিদ ঝান্ডা তুলেন এবং বিশাল সৈন্যদলের সামনে সামান্য মুসলিম সৈন্য নিয়ে জয়লাভ করেন।
রাসুল সা: এর ওফাতের পর খলিফাদের সময় তিনি মুসলিম সেনাপতি হিসাবে জয় করে নেন অর্ধেক বিশ্ব। তার যুদ্ধের আদর্শ এবং টেকনিক ছিল রাসুল স: এর আদর্শ এবং টেকনিক। তিনি পারস্য, রোমান, সিরিয়া,সহ এখনকার মুসলিম সংগরিষ্ঠ বেশির ভাগ দেশ জয় করেছিলেন।
০৫) Timur

আমরা তৈমুর লঙ নামে চিনি। তিনি চেঙ্গিস খানের বংশধর এবং মুঘলদেরপুর্বপুরুষ। মুলত মোঙ্গল এবং তার্কির সংমিশ্রন। পুরো মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়া তার সৈন্য বাহিনিকে ভয় পেত। তার সৈন্যবাহিনি তৎকালিন পুরো বিশ্বের জনসংখার ৫ % হত্যা করে। কোন কিছুই তার সামনে দারাতে পারেনি সে সময়ে। তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে মোঙ্গল এবং মুসলমানদের যৌখ পলিসি ব্যবহার করতেন। কারন তিনি দুপক্ষের কৌশলই জানতেন। তিনি চিনের মিং সম্রাজ্য দখল করতে চেয়েছিলেন। যদিও সেটা পরে আর সম্ভব হয়নি।
০৪) Hannibal Barca (247 – 183/182 BC)

হ্যানিবল বারকা একজন কারথেজিয়ান সেনা কমান্ডার ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন পিউনিক । তিনি যখন জন্মনেন তখন তার দেশ রোমানদের প্রচন্ড চাপের মধ্যে ছিল। তিনি তার জীবনে ১৭ বছর কাটিয়েছিলেন রোমান সম্রাজ্যের ভিতরে। বিশাল রোমান আর্মি ধংস করতে করতে তাদেরকে সংখ্যা লঘু বানিয়ে দেন। তার অসাধারন এবং অনন্য যুদ্ধ কৌশল এখনো আধুনিক সেনাশিক্ষালয় গুলেতে চর্চা করা হয়।
তার নিজের দেশ থেকে রওনা দিয়ে স্পেন, ফ্রান্স এবং আলপস পর্বত মালার ভিতর দিয়ে গিয়ে সামান্য সংখক সৈন্যসংখা দিয়ে কোনরকম নৌ এবং সিজ যন্ত্রাংশ ছারাই তিনি পুরো রোমান সেনাবাহিনিকে নাস্তানুবাদ করে দেন। কি এডভান্টেজ ছিল না রোমান সেনাবাহিনির সেনা, নৌ, সিজ, সৈন্য সংখ্যা, নিজের দেশের মধ্যে থেকে যুদ্ধ করা। কিন্তু তারা এত এডভান্টেজ নিয়েও হ্যনিবল এর সামান্য সেনাবাহিনির হাতে পর্যদুস্ত হয়।
বলা হয়ে থাকে যে হ্যনিবলের হাতে যদি কোন সিজ ওয়েপন থাকত তাহলে রোমান সম্রাজ্যের স্থানে কারথেজিয়ান সম্রাজ্য স্থাপন হত।
০৩) Napolean Bonaparte (15 August 1769 – 5 May 1821)

নেপোলিয়ন ফ্রেঞ্চ আর্মির একজন অফিসার ছিলেন। তিনি জন্মনিয়েছিলেন নিচু জাতের, বেটে এবং দেখতে বিশ্রি এরকম কিছু খারাপ দিক নিয়ে। নিজের যোগ্যতা এবং যু্দ্ধনৈপুন্যে তিনি সামরিক জেনারেল হন এবং পরে পুরো দেশের শাষন কর্ত হন। তিনি সামরিা ইতহাসের একজন নক্ষত্র। তিনিই শিখিয়েছেন যুদ্ধ জিততে আগে হারতে হবে। তিনি যেটা হেরে গিয়েছেন সেটা থেকে শিক্ষা নিতেন। তার বিপক্ষে পুরো ইউরোপ ছিল কিন্তু তার সামনে কিছুই বাধা হয়ে দাড়াতে পারে নি।
০২) Alexander the Great (20/21 July 356 – 10/11 June 323 BC)

আসল নাম আলেক্সান্ডার থ্রি অফ মেসিডন। তিনি ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত দার্শনিক এরিস্টটল এর ছাত্র ছিলেন। তিনি ৩১ বছর বয়সে গ্রিসের আইও নিয়ান সম্রদ্রতট থেকে হিমালয় পর্যন্ত বিশাল এক সম্রাজ্য স্থাপন করেন।আলেক্সান্ডার এর যুদ্ধকৌশল গুলো ছিল অন্যরকম। তিনি শত্রুদের মনস্তাত্বিক ভাবে বেশি চাপে রাখতেন। হয় তার বেশি আত্মতুস্টিতে ভুগতেন অথবা ভয়ে ভুগতেন। তিনি তার গ্রেট জার্নি শুরুর আগে বলকানদের শায়েস্তা করে তার নিজের দেশকে নিরাপদ করে যান। তিনি আস্তে আস্তে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে এশিয়ার হিমালয় পর্যন্ত জয় করে নেন। । তিনি ৩২ বয়সে মারা যান এবং ২০ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহন করেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি তার পথে যা পেয়েছেন তাই তিনি জয় করেছেন। তিনি যদি ৬০-৭০ বছর বাচতেন তাহলে মনে হয় প্রথিবীর ইতিহাস অন্যরকম করে লিখতে হত।
০১) Ghengis Khan 1162 – August 1227

দ্য গ্রেট খান সম্পর্কে আমি আর নতুন করে কিছু লিখতে চাচ্ছি না। তারপরও বলতে হয় একটা যাযাবর সম্প্রদায় থেকে আগত একজন জন যোদ্ধার মদ্ধে কি থাকলে সে একজন সেনাপতি হয় এবং এমন এক সম্রাজ্য স্থাপন করে যায় যার ব্যাপ্তি পুর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত এবং ৯০০ বছরের উপরে।
আমার চোখে পৃথিবির সেরা ১১ জন সেনাপতি। আসলে আমি অনলাইনে স্টাডি করে যা বুঝেছি তাই এখানে লিখেছি। যদি আপনার মতের সাথে না মিলে তবে কমেন্টে বলতে পারেন।
এবার আসুন দেখি কারা তারা এবং তারা কি করেছিলেন।
১০) Saladin (1137/1138 – March 4, 1193)
পুরো নাম সালাহ আদ-দীন ইউসুফ ইব্ন আইউব। তিনি মিশর এবং সিরিয়ার প্রথম সুলতান এবং আইয়ুবি ডাইনাস্টির স্থপতি ছিলেন। তিনি একটি যোদ্ধা পরিবার থেকে আগত ছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রে তার সবচেয়ে বড় সফলতা ছিল খ্রিস্টান ক্রুসেডারদের হাত থেকে পবিত্র আলকুদস পুনরুদ্ধার করা। তিনি একা পুরো ইউরোপ এর সামনে যুদ্ধ করে ফিলিস্তিন এবং পবিত্র ভুমি জেরুজালেম পুনরুদ্ধার করেন। তিনি তার যুদ্ধপরিকল্পনা করতে খুব ঠান্ডা মাথায় এবং তার প্রয়োগ করতেন খুব দ্রুত। বলা হয়ে থাকে তিনি তার বন্দিদেরকে খাবার দিতেন এবং অনেককে ছেরে দিতেন যদিও তারা তার অনেক শুভানুদ্যায়িদের হত্যা করেছে। তার এই মহৎগুনের জন্য অনেক খ্রিস্টান বন্দি মুসলমান ধর্মে দিক্ষিত হতেন। তিনি তখনকার একটি বড় সমস্যা Assassins দের কঠোর হাতে দমন করেছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রে তার উদারতা এবং ক্ষমাশিলতা এখনো লোকগাথা হয়ে আছে।
০৯) Erwin Rommel the Desert Fox (15 November 1891 – 14 October 1944)
আমার এই লিস্টের একমাত্র আধুনিক সেনাপতি। হিটলারের নাৎজি সেনাবাহিনির একজন সেনাপতি ছিলেন। তিনি একই সাথে তার এবং শত্রু পক্ষের সেনাবাহিনিতে সম্মানের চোখে ছিলেন। একমাত্র তার আন্ডারে কোন যুদ্ধে সেনাবাহিনি যুদ্ধপরাধ করেনি। তিনি তার বুদ্ধিমত্তা এবং সাহস দিয়ে হিটলারকে একটা বিশাল সম্রাজ্য উপহার দিয়েছিলেন। এবং উপহার দিয়েছিলেন অভুতপুর্ব সব বিজয়। রোমেল এর সুক্ষরনকৌশলে আফ্রিকা অঞ্চল জার্মানদের হাতে প্রায় দখল হয়ে গিয়েছিল। ধারনা করা হয় হিটলার যদি তার কথা শুনতেন তাহলে ইতহাস অন্যভাবে লেখাহতে পারত। তিনি পোল্যন্ড, ফ্রান্স এবং দ্বিতীয় পান্জার ডিভিশনে এবং সর্বশেষ আফ্রিকা অঞ্চলের দায়িত্বে ছিলেন।
০৮) Tran Hung Dao (1228–1300)
যদি যুদ্ধজয় এবং নির্মমতার দিক দিয়ে মোঙ্গল সেনাবাহিনি এক নাম্বার হয় তবে তাদের এক বার নয় দুই বার নয় তিন তিন বার পরাজিত করা এই জেনারেল কে ক্রেডিট না দিলে ভুল হবে। তিনি আধুনিক ভিয়েতনামের বাসিন্দা ছিলেন। এর মধ্যে চেঙ্গিস খানের বংশধর কুবলাই খানেরসেনাবাহিনির হামলার জবাবে তাদের খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এবং সেটি ছিল পৃথিবীর ইতিহাসের সেরা সামরিক কৃতিত্বর একটি। তার সামরিক জ্ঞানের তুলনা খুবই দেখা যায়। এতবড় এবং এবং এত শক্তিশালি এক সেনাবাহিনিকে তিন তিন বার রুখেদেয়া খুব সহজ কাজ নয় তা বোদ্ধারা খুব ভাল ভাবেই বুঝবেন।
০৭) Julius Caesar (July 100 BC – 15 March 44 BC)
রোমান সম্রাজ্যের জেনারেল এবং একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন। তিনিই মুলত রোমান সম্রাজ্যের ব্যাপ্তি বিশাল করেন। তিনি প্রায় ৫ লক্ষ জার্মানদের হত্যা করেন যারা রোমান বর্ডার ক্রস করতে চেয়েছিল। তার সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন অর্জন ছিল এলিসিয়া দখল করা। তিনি আধুনিক ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড দখল করেছিলেন। তিনি পম্পেই এবং মিশরের সেনাবাহিনিকে পরজিত করেছিলেন। অল্প সাপ্লাই, কম সৈন্যসংখ্যা, বার বৈরি আবহাওয়া কোন কিছু তার জয়ের জন্য বাধা হয়ে দারাতে পারত না।
০৬) Khalid ibn al-Walid (592–642)
রাসুল স: এর সাহাবি হজরত খালিদ ইবন আল ওয়ালিদ রা: আ: ছিলেন পৃথীবির সবচেয়ে শক্তিশালি সেনাপতি। তিনি তার প্রথম জীবনে মক্কার একজন মুর্তিপুজারি কুরাইশ ছিলেন যিনি ওহুদ যুদ্ধে প্রায় মুসলিম বাহিনিকে পরজিত করে দিয়েছিলেন এবং রাসুল স: কে হত্যা করাতে চেয়েছিলেন। ইসলামধর্ম গ্রহন করার পর তিনি পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামের ঝান্ডা উত্তলনে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করেন। ওনাকে সাইফুল্লাহ বা আল্লাহর তরবারি বলা হত। তিনি মুলত লাইমলাইটে আসেন মুতার যুদ্ধে । যখন রাসুল স: তিনজন সেনাপতি নির্ধারন করেদেন এবং তারা তিনজনই শহিদ হলে যোগ্য কোনলোককে ঝান্ডা তুলো ধরার আহ্বান করেন। তখন তিনজনই শহিদ হলে খালিদ বিন ওয়ালিদ ঝান্ডা তুলেন এবং বিশাল সৈন্যদলের সামনে সামান্য মুসলিম সৈন্য নিয়ে জয়লাভ করেন।
রাসুল সা: এর ওফাতের পর খলিফাদের সময় তিনি মুসলিম সেনাপতি হিসাবে জয় করে নেন অর্ধেক বিশ্ব। তার যুদ্ধের আদর্শ এবং টেকনিক ছিল রাসুল স: এর আদর্শ এবং টেকনিক। তিনি পারস্য, রোমান, সিরিয়া,সহ এখনকার মুসলিম সংগরিষ্ঠ বেশির ভাগ দেশ জয় করেছিলেন।
০৫) Timur
আমরা তৈমুর লঙ নামে চিনি। তিনি চেঙ্গিস খানের বংশধর এবং মুঘলদেরপুর্বপুরুষ। মুলত মোঙ্গল এবং তার্কির সংমিশ্রন। পুরো মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়া তার সৈন্য বাহিনিকে ভয় পেত। তার সৈন্যবাহিনি তৎকালিন পুরো বিশ্বের জনসংখার ৫ % হত্যা করে। কোন কিছুই তার সামনে দারাতে পারেনি সে সময়ে। তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে মোঙ্গল এবং মুসলমানদের যৌখ পলিসি ব্যবহার করতেন। কারন তিনি দুপক্ষের কৌশলই জানতেন। তিনি চিনের মিং সম্রাজ্য দখল করতে চেয়েছিলেন। যদিও সেটা পরে আর সম্ভব হয়নি।
০৪) Hannibal Barca (247 – 183/182 BC)
হ্যানিবল বারকা একজন কারথেজিয়ান সেনা কমান্ডার ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন পিউনিক । তিনি যখন জন্মনেন তখন তার দেশ রোমানদের প্রচন্ড চাপের মধ্যে ছিল। তিনি তার জীবনে ১৭ বছর কাটিয়েছিলেন রোমান সম্রাজ্যের ভিতরে। বিশাল রোমান আর্মি ধংস করতে করতে তাদেরকে সংখ্যা লঘু বানিয়ে দেন। তার অসাধারন এবং অনন্য যুদ্ধ কৌশল এখনো আধুনিক সেনাশিক্ষালয় গুলেতে চর্চা করা হয়।
তার নিজের দেশ থেকে রওনা দিয়ে স্পেন, ফ্রান্স এবং আলপস পর্বত মালার ভিতর দিয়ে গিয়ে সামান্য সংখক সৈন্যসংখা দিয়ে কোনরকম নৌ এবং সিজ যন্ত্রাংশ ছারাই তিনি পুরো রোমান সেনাবাহিনিকে নাস্তানুবাদ করে দেন। কি এডভান্টেজ ছিল না রোমান সেনাবাহিনির সেনা, নৌ, সিজ, সৈন্য সংখ্যা, নিজের দেশের মধ্যে থেকে যুদ্ধ করা। কিন্তু তারা এত এডভান্টেজ নিয়েও হ্যনিবল এর সামান্য সেনাবাহিনির হাতে পর্যদুস্ত হয়।
বলা হয়ে থাকে যে হ্যনিবলের হাতে যদি কোন সিজ ওয়েপন থাকত তাহলে রোমান সম্রাজ্যের স্থানে কারথেজিয়ান সম্রাজ্য স্থাপন হত।
০৩) Napolean Bonaparte (15 August 1769 – 5 May 1821)
নেপোলিয়ন ফ্রেঞ্চ আর্মির একজন অফিসার ছিলেন। তিনি জন্মনিয়েছিলেন নিচু জাতের, বেটে এবং দেখতে বিশ্রি এরকম কিছু খারাপ দিক নিয়ে। নিজের যোগ্যতা এবং যু্দ্ধনৈপুন্যে তিনি সামরিক জেনারেল হন এবং পরে পুরো দেশের শাষন কর্ত হন। তিনি সামরিা ইতহাসের একজন নক্ষত্র। তিনিই শিখিয়েছেন যুদ্ধ জিততে আগে হারতে হবে। তিনি যেটা হেরে গিয়েছেন সেটা থেকে শিক্ষা নিতেন। তার বিপক্ষে পুরো ইউরোপ ছিল কিন্তু তার সামনে কিছুই বাধা হয়ে দাড়াতে পারে নি।
০২) Alexander the Great (20/21 July 356 – 10/11 June 323 BC)
আসল নাম আলেক্সান্ডার থ্রি অফ মেসিডন। তিনি ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত দার্শনিক এরিস্টটল এর ছাত্র ছিলেন। তিনি ৩১ বছর বয়সে গ্রিসের আইও নিয়ান সম্রদ্রতট থেকে হিমালয় পর্যন্ত বিশাল এক সম্রাজ্য স্থাপন করেন।আলেক্সান্ডার এর যুদ্ধকৌশল গুলো ছিল অন্যরকম। তিনি শত্রুদের মনস্তাত্বিক ভাবে বেশি চাপে রাখতেন। হয় তার বেশি আত্মতুস্টিতে ভুগতেন অথবা ভয়ে ভুগতেন। তিনি তার গ্রেট জার্নি শুরুর আগে বলকানদের শায়েস্তা করে তার নিজের দেশকে নিরাপদ করে যান। তিনি আস্তে আস্তে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে এশিয়ার হিমালয় পর্যন্ত জয় করে নেন। । তিনি ৩২ বয়সে মারা যান এবং ২০ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহন করেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি তার পথে যা পেয়েছেন তাই তিনি জয় করেছেন। তিনি যদি ৬০-৭০ বছর বাচতেন তাহলে মনে হয় প্রথিবীর ইতিহাস অন্যরকম করে লিখতে হত।
০১) Ghengis Khan 1162 – August 1227
দ্য গ্রেট খান সম্পর্কে আমি আর নতুন করে কিছু লিখতে চাচ্ছি না। তারপরও বলতে হয় একটা যাযাবর সম্প্রদায় থেকে আগত একজন জন যোদ্ধার মদ্ধে কি থাকলে সে একজন সেনাপতি হয় এবং এমন এক সম্রাজ্য স্থাপন করে যায় যার ব্যাপ্তি পুর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত এবং ৯০০ বছরের উপরে।
Comments
Post a Comment