সবচেয়ে বড় জাহাজ গুলো


কন্টেইনার
সবচে বড় কন্টেইনার শিপের মালিকানা পাওয়ার গর্ব নিয়ে একরকম ঠাণ্ডা যুদ্ধই চলছে বলা যায় CMA CGM আর MAERSK LINE এর মধ্যে। অবশ্য বড় কন্টেইনারবাহী জাহাজের মালিকানার খেতাব আগে MSC, OOCL, CSCL , OOCL এমনকি HAPAG LLOYD এর কাছেও ছিল।

২০০৬ সালে দৃশ্যপটে আসে MAERSK LINE তাদের জাহাজ EMMA MAERSK এর মাধ্যমে। Odense Steel Shipyard এর তৈরি এই জাহাজটির ডেডওয়েট ছিল 158,200 টন। মোট ১৪,৭৭০ টি TEU কন্টেইনার বহনের সক্ষমতা নিয়ে জাহাজটির দৈর্ঘ্য ছিল ৩৯৭.৭১ মিটার আর প্রস্থে ৫৬.৪ মিটার। ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য গুরত্বপূর্ণ তথ্য হল এটি বিশ্বের প্রথম ১৪ সিলিন্ডার ইন লাইন ইঞ্জিন Wärtsilä 14RT-flex96C দ্বারা পরিচালিত ছিল যার ক্ষমতা 80,080kW এবং আরপিএম 102। জাহাজটির সার্ভিস স্পীড ২৫.২ নট। বর্তমান RANK#3. পথে দেখা হলে হাই দিতে ভুলবেন না।

২০১২ সালের নভেম্বর এ তোলপাড় করে CMA CGM তাদের নতুন জাহাজ CMA CGM MARCO POLO দিয়ে যা তৈরি করে Daewoo Shipbuilding and Marine Engineering (DSME)। এই জাহাজের দুইটি সিস্টার শিপ CMA CGM Alexander Von Humbolt এবং CMA CGM Jules Verne ২০১৩ সাল থেকে কাজে নেমে পড়ে। দৈর্ঘ্য ৩৯৬ মিটার আর প্রস্থে এরা ৫৪ মিটার। কন্টেইনার ধারন ক্ষমতা 16,020 TEU এবং Wärtsilä 14RT-flex96C ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত।

হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারেই যেন নামে MAERSK LINE. তৈরি করে MARY MAERSK. বিশ্ব রেকর্ড গড়া 17603 টি কন্টেইনার নিয়ে চলতি বছরের 21 July প্রথম ভয়েজ শুরু করে Algeciras, Spain থেকে Tanjung Pelepas, Malaysia এর উদ্দেশ্যে। মজার ব্যপার হল এটি জাহাজটির সর্বোচ্চ ধারন ক্ষমতা নয় যা তাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজের তকমা দিয়েছে। পোর্টের কড়াকড়ির কারনে 18,270 TEU এর জাহাজটিকে 17,603 টি কন্টেইনার নিতে হয়। এই জাহাজটি ও তৈরি করে দক্ষিন কোরিয়ার Daewoo Shipbuilding and Marine Engineering (DSME)। অবিশ্বাস্য ১৬৫০০০ টন ডেডওয়েট আর ৪০০ মিটার দৈর্ঘ্য, ৫৯ মিটার প্রস্থ আর ১৪.৫ মিটার ড্রাফ্‌ট নিয়ে MARY MAERSK এখন সবচেয়ে বড়। তবে DSME এরকম আরও ২০ টি জাহাজ তৈরির কাজ করছে। এর ইঞ্জিনের ক্ষমতা 30000kW সার্ভিস স্পীড ও তাই মাত্র ১৭.৫ নট। তবে ধারন ক্ষমতার হিসেবে সে বহন করতে পারবে ৮৫৪ মিলিওন কলা
দেখা যাক MARY MAERSK কে টলাতে কে আসে? MAERSK LINE নিজেই, CMA CGM নাকি অন্য কেউ।

বাল্ক ক্যারিয়ার
বাল্ক ক্যারিয়ার বলতে বোঝায় সেসব জাহাজকে যাদের কার্গো হোল্ডে আপনি কোন মালামাল সরাসরি লোড করতে পারবেন। যেমন ধরুন বালুবাহী নৌকা গুলো যেমন সরাসরি তাদের হোল্ডে বালু নিয়ে নদীতে ভেসে বেড়ায় অনেকটা ওই রকম। এসব জাহাজে মূলত সিমেন্ট ক্লিঙ্কার, সার, খাদ্যশস্য, কয়লা, চীনামাটি, আয়রন ও্যর ইত্যাদি টাইপ জিনিস কোন প্যাকেজিং ছাড়াই সরাসরি লোড করা যায়।
আবার কোন কোন কার্গো যেমন রেলের ওয়াগন, লোহার বার, স্টিলের কয়েল শীট, কাগজের রোল, ড্রাম এগুলোও পরিবহন করা যায় এই স্ট্রাকচারের জাহাজে। অবশ্য ওগুলোকে আলাদা ভাবে জেনারেল কার্গো ক্যারিয়ার ও বলা হয়।

২০১১ সাল পর্যন্ত এই সবচে বড় বাল্ক ক্যারিয়ারের শ্রেষ্ঠত্ব ছিল MS BERGE STAHL এর।

কিন্তু MS VALE BRASIL বর্তমান বিশ্বের সবচে বড় বাল্ক ক্যারিয়ার। তুলনায় না গিয়ে সরাসরি এই জাহাজটি সম্পর্কে জানি।

লোহা তৈরির কাঁচামাল আয়রন ও্যর বহন করার জন্যই মূলত এই জাহাজটি তৈরি করা হয়। এর মালিক ব্রাসিলিয়ান মাইনিং কোম্পানি VALE S.A. যারা ব্রাসিল থেকে এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন বন্দরে বিপুল পরিমান আয়রন ও্যর পরিবহন করার জন্য জাহাজটি নির্মাণ করে। বাল্ক ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ক্লাস VLOC (Very Large Ore Carrier) এর এই জ্যৈষ্ঠ সদস্য

এক সাথে এত পরিমান আয়রন ও্যর বহন করতে পারে যা দিয়ে তিনটি গোল্ডেন গেট ব্রীজের সমপরিমান লোহা উৎপাদন করা যাবে।

VALE BRASIL তৈরি করেছে সবচে বড় কন্টেইনারবাহী জাহাজের প্রস্তুতকারক
অর্থাৎ দক্ষিন কোরিয়ার Daewoo Shipbuilding & Marine Engineering Co., Ltd। বড় জাহাজ বানানো মনে হয় তাদের নেশা।

৩০ মার্চ ২০১১ সালে তারা জাহাজটি হস্তান্তর করে। এই জাহাজের ডেডওয়েট ৪০২,৩৪৭ টন। আগের পোস্টে অনেকেই জিজ্ঞেস করেছিলেন ডেডওয়েট কি জিনিস। খালি অবস্থায় জাহাজের ওজনকে ফুল লোডেড অবস্থার ওজন থেকে বাদ দিলে যা পাওয়া যায় সেটাই ডেডওয়েট। সহজ কথায় ডেডওয়েট হল জাহাজের ক্যারিং ক্যাপাসিটি। অর্থাৎ VALE BRASIL একসাথে ৪ লাখ ২ হাজার ৩৪৭ টন মালামাল বহন করতে পারবে। এই পরিমান আয়রন ও্যর দেয়ার জন্য তার কাছে মোট ১১ হাজার ১৫০ টি বড় ট্রাক কার্গো নিয়ে আসতে হয়। অবিশ্বাস্য না? সমগ্র বাংলাদেশ যদি ১০ টন হয় এ তবে কি?

জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৩৬২ মিটার আর প্রস্থ ৬৫ মিটার। ড্রাফ্‌ট ২৩ মিটার। ড্রাফ্‌ট মানে হল ম্যাক্সিমাম লোডেড অবস্থায় তার ২৩ মিটার পরিমান অংশ পানির নিচে থাকবে। একটা ছোট তুলনা করি। আমাদের চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রবেশের জন্য একটি জাহাজের ড্রাফ্‌ট সর্বোচ্চ হতে পারবে ৯.২ মিটার। এর বেশি হলে তলা আটকে যাবে। VALE BRASIL কে বাংলাদেশে আমন্ত্রন জানাতে তাই কর্ণফুলী নদীকে আরও ১৪ মিটার গভীর করে খুঁড়তে হবে। থাক তোর এই দেশে আসার দরকার নাই।

অবশ্য শুধু চট্টগ্রাম নয়। বিশ্বের খুব কম পোর্টই VALE BRASIL কে আমন্ত্রন জানাতে পারে। জাহাজটিতে ৩৩ জন সমুদ্রচারী কর্মরত আছেন। মোট সাতটি কার্গো হোল্ড আছে এতে। মূলত চীনে এই বিপুল পরিমান লোহামাটি পৌঁছে দেয়ার জন্য একে তৈরি করা হলেও চীনা সরকার তাদের পোর্টের এবং একই সাথে নিজেদের দেশের শিপিং ইন্ডাস্ট্রির কথা চিন্তা করে একরকম আইন করেই ৩১ জানুয়ারি ২০১২ তে তাদের পোর্টে ৩ লাখ টনের উপরে কার্গোবাহী বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ নিষিদ্ধ করে। VALE BRASIL কে তাই ব্রাসিল থেকে আফ্রিকা, ফিলিপাইন এবং মালয়েশিয়ায় গিয়ে আয়রন ও্যর কমিয়ে ৩ লাখ টনের নিচে করে চীনে ঢুকতে হয়।

জাহাজটির ইঞ্জিন একটি MAN B&W 7S80ME-C8 টু স্ট্রোক ডিজেল ইঞ্জিন। প্রতিদিন এটি ৯৬.৭ টন ফুয়েল পোড়ায় আর ৭৮ আরপিএম এ ২৯২৬০ কিলোওয়াট ক্ষমতা প্রদান করতে পারে। এর সার্ভিস স্পীড ও তাই কম। মাত্র ১৫.৪ নট।
জাহাজটি তৈরিতে আনুমানিক খরচ হয় প্রায় ১১৫ মিলিওন ডলার।
তেলবাহী ট্যাংকার
সমুদ্রপথে তেল পরিবহনে ট্যাংকারের গুরত্ব অপরিসীম। মূলত পাইপলাইনে এবং ট্যাংকারের মাধ্যমে তেল পরিবহন করা যায় তবে ট্যাংকারে পরিবহন অনেকটাই সস্তা। ট্যাংকারে করে তেল পরিবহনের কারনে সবচে বড় রুটে তেল পরিবহনেও তেলের দাম গ্যালন প্রতি মাত্র ২ থেকে ৪ সেন্ট বৃদ্ধি পায়। (১ গ্যালন=৩.৮ লিটার)

বড় জাহাজের ইতিহাসে ট্যাংকার জাহাজ খুব গৌরবজনক সময় পার করে এসেছে কারন এখন পর্যন্ত মানুষের তৈরি সবচেয়ে বড় জাহাজটি ছিল একটি তেলবাহী ট্যাংকার যা ২০১০ সালে ভেঙ্গে ফেলা হয়।
যদিও জাহাজটি এখন অতীত তবু আগে এ সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা যাক।
অনলাইনে আপনি worlds largest tanker লিখে সার্চ করলে অনেকগুলো ফলাফল পাবেন। সবচেয়ে বেশি পাবেন নিচের নামগুলো Knock Nevis, Seawise Giant, Happy Giant, Jahre Viking.

কিন্তু মজার ব্যাপার হল সবগুলো নামই একই জাহাজের। বিভিন্ন সময়ে মালিকানা বদল হয়ে এই নাম ধারন করেছিল ইতিহাসের সবচে বড় এই জাহাজটি।
জাহাজটি এতটাই বড় ছিল যে অনায়াসে ৪ টি ফুটবল মাঠ তাতে এঁটে যেত। বিশাল
মোমেন্টামের কারনে একে থামাতে হলে প্রায় সাড়ে ৫ মাইল আগে থেকেই ইঞ্জিন বন্ধ করা লাগত।

এর দৈর্ঘ্য ছিল ৪৫৮. ৪৫ মিটার অর্থাৎ প্রায় অর্ধ কিলোমিটার। প্রস্থ প্রায় ৬৮.৮ মিটার। এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং (দৈর্ঘ্য ৪৪৩ মিটার) এবং পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারের (দৈর্ঘ্য ৪২৪মিটার) সাথে তুলনা করে চলে তার।

জাহাজটির প্রথম নাম ছিল SEAWISE GIANT. দৈত্যাকার আকারের জন্য প্রথম থেকেই এই নামে পরিচিত হয় সে। Sumitomo Heavy Industries জাহাজটি তৈরির কাজ শুরু করে ১৯৭৯ সালে। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে জাহাজটি তার প্রকৃত গ্রীক মালিকের কাছে হস্তান্তরের আগেই মালিক দেউলিয়া হয়ে যায়। শিপইয়ার্ড তারপর জাহাজটি বিক্রি করে দেয় হংকং ভিত্তিক জাহাজ কোম্পানি OOCL এর কাছে। জাহাজটির ধারন ক্ষমতা তখন ছিল ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টন। OOCL জাহাজটিকে গ্রহন করার আগে মডিফাই করার সিদ্ধান্ত নেয়। সামনের দৈর্ঘ্য আরও কয়েক মিটার বাড়িয়ে অতিরিক্ত প্রায় ৮৭০০০ টন ধারণক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করে। তৈরি হয় ইতিহাস।

১৯৮১ সালে এই দৈত্য ৫,৬৪,৭৬৩ টন ধারন ক্ষমতা নিয়ে সমুদ্রে নামে। সবকিছু ঠিকমতই চলছিল কিন্তু ১৯৮৬ সালে ইরান ইরাক যুদ্ধে মিসাইলের আঘাতে ইরানের খারগ দ্বীপের কাছাকাছি অগভীর জলে নিমজ্জিত হয়।
যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ১৯৮৮ সালে নরওয়েজিয়ান শিপওনার আন্দ্রেস জাহরে জাহাজটিকে উদ্ধার করে ভাসিয়ে সিঙ্গাপুরে অবস্থিত Keppel Shipyard এ নিয়ে আসেন। ১৯৮৯ সালে নরওয়ের মালিক জাহাজটির নাম রাখেন Happy Giant.

পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে সমুদ্রে ভাসার আগে মালিকের নাম অনুযায়ী তার নাম হয় Jahre Viking. ২০০৪ সাল পর্যন্ত এই নামেই টানা সার্ভ করে জাহাজটি।

২০০৪ সালে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক ফার্স্ট ওলসেন ট্যাংকার জাহাজটি কিনে নেয় এবং একে একটি ভাসমান স্টোরেজ আকারে কনভার্ট করে।
নতুন নাম করন করা হয় Knock Nevis. এরপর কাতারে অবস্থিত আল শাহীন তেল ক্ষেত্রের কাছেই স্থায়ী নোঙ্গর করা অবস্থায় জাহাজটি অবস্থান করতে থাকে।

২০১০ সালে ভারতীয় জাহাজ ভাঙ্গার ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে জাহাজটি স্ক্র্যাপ করে।

হংকং মেরিটাইম জাদুঘরের সামনে তার নোঙ্গরটি স্মৃতি হিসেবে রেখে দেয়া হয়েছে।
জাহাজটি স্ক্র্যাপ করার পর সবচেয়ে বড় ট্যাংকারের তালিকায় একসাথে চলে আসে ৪ টি জাহাজ। তারা ৪ বোন।

TI Asia

TI Europa

TI Oceania

এবং TI Africa.
এবার আসছি বর্তমান বিশ্বের সবচে বড় ট্যাংকারগুলোর গল্পে।
সিস্টার ভেসেল এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে জাহাজগুলোর গঠন বৈশিষ্ট্য হুবহু একই থাকে। ট্যাংকার ইন্টারন্যাশনাল (TI) এর এই ৪ টি জাহাজের দৈর্ঘ্য ৩৮০ মিটার করে। আর ধারণক্ষমতা ৪, ৪১,৮৯৩ টন। জাহাজগুলোর স্রস্টা ও সেই Daewoo Shipbuilding and Marine Engineering. বলেছিলাম না?? বড় জাহাজ বানানোই তাদের নেশা। ২০০২-২০০৩ সালে তৈরি করার সময় তাদের নাম ছিল Alhambra, Metropolis, Fairfax , Tara তাদের মালিক ছিল গ্রীক শিপিং কর্পোরেশন Hellespont. পরবর্তীতে Overseas Shipholding Group কিনে নেয় Tara এবং Fairfax কে। তাদের নাম রাখে TI Africa এবং TI Oceania. EURONAV NVনামক অপর বেলজিয়াম কোম্পানি Alhambra ও Metropolis কে কিনে নেয় এবং নাম রাখে TI Asia ও TI Europa। একসাথে এদেরকে বলা হয় the fantastic four. এরা হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির জাহাজ যারা দুর্ঘটনাতে পড়ে তেল ছড়িয়ে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটাবে না। double hulled.
ইতোমধ্যে TI ASIA আর TI AFRICA কে সুপারট্যাংকার থেকে কনভার্ট করে ভাসমান স্টোরেজ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে Knock Nevis এর জায়গায়।
বাকি দুটি এখনও ভাসমান আছে। প্রতিটি জাহাজের সার্ভিস স্পীড ১৬.৫ নট।
এদের প্রস্থ ৬৮ মিটার আর ড্রাফ্‌ট ২৪.৫ মিটার।
TI OCEANIA এবং TI Europaমূলত পারস্য উপসাগরের তৈল সমৃদ্ধ দেশ গুলো থেকে অপরিশোধিত তেল সংগ্রহ করে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়ার বেশ কিছু দেশে পৌঁছে দেয়।

Comments

Popular posts from this blog

কিছু অবিশ্বাস্য ও কাল্পনিক ছবি