Posts

Showing posts from August, 2013

চন্দ্র বিজয়: বাস্তবতা নাকি প্রতারণা !

মানব ইতিহাসে ১৯৬৯ সালটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই বছরের ২০ জুলাই তারিখে সমগ্র বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে সর্ব প্রথম চন্দ্রে মানুষের অবতারণা ঘটে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা’র মহাকাশ যান এপোলো-১১ চড়ে এদিন প্রথম মানুষ হিসেবে চাঁদে পদার্পণ করেন তিন ব্যক্তি। যারা হলেন নীল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স ও বুজ অলড্রিন। চাঁদে অবতরণের পর এই দিনটি ছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ঐতিহাসিক দিন। যে চাঁদকে মানুষ রাতে উচ্চ আকাশে দেখতে পায় সেখানেই মানুষের গমন ছিল অতি রোমাঞ্চকর এক ঘটনা। চাঁদে মানুষ পাঠানোর সফলতার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বুকে নতুন এক সম্মানের আসনে আসীন হয়। মানুষ যে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে এটি ছিল তারই একটি উজ্জ্বল প্রমাণ। আমরা এতো দিন বই-পুস্তক, টিভি-রেডিওতে মানুষের এই চাঁদে যাওয়ার কথা শুনে রোমাঞ্চিত হয়েছি কিন্তু আপনি কি জানেন, মানুষের চন্দ্র বিজয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় এক রহস্য। অনেকে শুনলে হয়তো অবাক হবেন কিন্তু এটাই ঠিক যে চাঁদে সত্যিই মানুষ যেতে পেরেছে কিনা সেটা আজও এক বিরাট রহস্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৬৯ সালে চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে বিশ্বে এক বিরল সম্মানের...

অর্থনৈতিকভাবে কিভাবে আমরা ভারতের কাছে আজ্ঞাবহ হয়ে যাচ্ছি!

Image
August 29, 2013 at 10:30pm ভারত বাংলাদেশ দিপাক্ষিক সম্পর্ক এখন নাকি ইতিহাসে সর্বাধিক ভাল অবস্থানে আছে। দুই দেশের বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক এখন তুঙ্গে। তো দেখি আমরা এই বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক থেকে আমরা কতটুকু লাভবান হচ্ছি আর ভারত কতটুকু লাভবান হচ্ছে! ভারত বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাধীনতার পর থেকেই। তবে ১৯৯০ এর পর থেকেই ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির সূচক উর্ধমূখী, হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়। আমাদের এই দেশ তিন দিক থেকে ভারতের ভূখন্ড দিয়ে ঘেরা। ভারত আমাদের থেকে আয়তনে প্রায় ২৬ গুন এবং জনসংখ্যায় প্রায় ৮ গুন বড়। তাদের জাতীয় উতপাদন আমাদের থেকে অনেকগুন বেশি। এছাড়াও পার্শবর্তী দেশ হিসেবে ভারত থেকে পণ্য আমদানী করাটা সবচাইতে সুবিধাজনক। আর ভারতীয় পণ্যের ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশি বাজারে চাহিদা আছে এবং এই পণ্যগুলোর বেশিরভাগই নিত্যপ্রয়োজনীয়। তাই চীনের পরেই আমদানীকারক দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান। বাংলাদেশে কনজিউমার পাওয়ার বাড়ছে বিধায় আমদানীকৃত পণ্যের পরিমান বাড়ছে এবং সাথে সাথে ভারত থেকে আমদানীর পরিমানও বাড়ছে। তবে আমদানীর তুলনায় ভারতে রপ্তানিকৃত পণ্যের সূচক ততটা সুসংহত নয়। এতে তৈরী হচ্...

আদিলুর রহমান ইসুতে লজ্জা আবরন খুলে মাঠে নামলেন জাফর স্যার?

বাংলাদেশের চেতনাজীবিরা একটা টিম। এ দলের একটা ক্যাপ্টেন থাকা দরকার। ক্যাপ্টেন হবেন এমন কেউ যে কিনা মারকুটে খেলোয়ার। কনসিস্টেন্সি ভালো, দলের জন্যে নির্ভরযোগ্য। বাকি ব্যাটসম্যানরা যখন উইকেট বাঁচিয়ে খেলতেই ব্যস্ত, ক্যাপ্টেন খেলবেন ডাউন দ্যা ট্র্যাক, চার-ছক্কা। একেবারে ক্যাপ্টেন্স নক। এই হিসেবে চেতনাজীবি দলের যোগ্য ক্যাপ্টেন হলেন জাফর ইকবাল স্যার। স্যারের যোগ্যতার লেটেস্ট উদাহরণ দেই। অধিকারের আদিলুর রহমান ইসুতে যখন বিশ্বের গুরুত্বপূর্ন সবকয়টি মানবাধিকার সংস্থা, এমনকি খোদ বাংলাদেশে স্যারের শাহাবাগ আন্দোলনের সহযোদ্ধ্যা সুশীল সমাজের গন্য-মান্য ব্যক্তিরা হয় চুপ থাকছেন না হয় সরাসরি প্রতিবাদ করছেন, তখন জাফর স্যার একে বারে গুগলি বলে অফ সাইড দিয়ে ছয় মারার চেষ্ঠা করেছেন। হয়তো ক্যাপ্টেন্সি জাহির করতেই। আমি আম্পায়ার হলে অবশ্য খেলার মাঠে জোকারি করার অপরাধে স্যারকে রিটায়ারড হার্ট করিয়ে দিতাম । তবে সে সুযোগ না থাকায় জাফর স্যারের ফাপর বাজি একটু তথ্য উপাত্ত সহ ধরিয়ে দেয়াই শ্রেয় বলে মনে করছি। স্যারের সর্বশেষ সাদাসিধে কথা কলামের নামটা হয়েছে অধিনায়ক সুলভ। "অধিকার" নামক সংগঠনে...

সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা

ঈদের পর গত কয়েকদিনে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ এবং ভারতীয় নাগরিকদের হাতে অন্তত ৩ জন বাংলাদেশী নাগরিক নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন এবং আরো কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা যায়। গতকাল পত্রিকায় প্রকাশিত একাধিক রিপোর্টে কুড়িগ্রাম জেলার পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশী এক যুবককে ধরে নিয়ে লোহার খাঁচায় পুরে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা ও গুরুতর আহত করার চাঞ্চল্যকর তথ্য জা না যায়। আরেক যুবক গুরুতর আহত অবস্থায় বেঁচে আছেন। একই সময়ে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার রাংটিয়া গ্রামের স্কুল পড়–য়া দুই কিশোর হেমন্ত কোচ (১৪) এবং শীতল কোঁচ সীমান্তবর্তী ভারতীয় রাজ্য মেঘালয়ের সমেশচুড়া গ্রামে গেলে স্থানীয় অধিবাসীদের গণপিটুনীর শিকার হয়ে নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। একই সময়ে এসব অস্বাভাবিক মৃত্যু পুরো জাতিকে হতবাক ও ক্ষুব্ধ করেছে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাস্তবতায় বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ও সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যে সব পদক্ষেপ চলছে এ ধরনের হত্যাকা-ে সে সবই তাৎপর্যহীন হয়ে পড়ছে। সীমান্তে বিএসএফ’র এরক...

<< জামায়াতে ইসলামীর মুখোস উন্মোচন >>

১/ এক সময় জামাতের নেতারা খুব জোরেশোরেই বলতেন ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম এবং যে দেশে নারী নেতৃত্ব থাকে সে দেশে তসবীর ছড়ার ন্যায় আল্লাহর গজব পড়ে । কিন্তু বেগম জিয়ার ছায়াতলে আশ্রয়ের পর সে কথা তারা বেমালুম ভূলে গেছে । যারা নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য হারামকে হালাল বানায় তারা আবার কেমন মুসলিম ?  ২/ আপনাদের মনে আছে কিনা জানিনা । জোট আমলে সকল ইসলামী দলের ছাত্রসংগঠন (শিবির ব্যাতিত) একত্রিত হয়ে মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য একটি আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলনে নেমেছিল । কিন্তু জামাত-শিবিরের প্ররোচনায় সেই আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য ইসলামী ছাত্রসেনার তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মাহমুদ ভুঁইয়া মানিককে জঙ্গী কানেকশনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে এবং তিন দিনের রিমান্ডে নেয় । ফলে সেই আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে । সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীসভা সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন করেছে । জামাত কি ধরণের ইসলামী দল যারা একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বাধাদান করল ?  বিঃদ্রঃ- জোট আমলের খুব সম্ভবত তৃতীয় বছরের সমকালের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় দেখলে আপনারা আম...

হে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ নেতা, তোমায় ৩০লাখ সালাম.....

হে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ নেতা, তোমায় ৩০লাখ সালাম.. ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে শুরু হয় ইতিহাসের ভয়াবহতম দুর্ভিক্ষ,যাতে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ মারা যায়। মানুষ ক্ষুধার জ্বালায় নিজের বমি নিজে ভক্ষণ করেছিল,মা তার সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছিল পেটের দায়ে।ভাত না জোটায় অনেক অঞ্চলে লতাপাতা,কচুর ডাটা সেদ্ধ এমনকি বাশের কচি কঞ্চি পর্যন্ত মানুষের খাদ্যে পরিনত হয়েছিল। অভাবের কারনে গ্রামে-গঞ্জে ল্যাংটা মানুষের সংখ্যা দিনদিন বেড়ে চলছিল।একটা বিদেশি পত্রিকার হিসেব মতে- সেই সময়ে সারাদেশে ৫০ লক্ষ নারী নগ্ন ছিল,যারা পরনের কাপড় বিক্রি করে চাল কিনে খেয়েছিল।ডোবা-নালা,খাল-পুকুর সর্বত্র মানুষের পচা লাশে ভরে গিয়েছিল। এইসব দৃশ্য আন্তর্জাতিক মিডিয়া গুলি ব্যাপকভাবে প্রচার করায় বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ সাহায্য আসতে লাগলো। তাই দেশে খাদ্যের অভাব ছিল না,ছিল সঠিক বন্টনের অভাব। কথিত আছে,৭৪ এর দুর্ভিক্ষের সময় বাংলাদেশ যে পরিমাণ বৈদেশিক সাহায্য পেয়েছিল তার এক-চতুর্থাংশ দিয়ে তৎকালীন জার্মানি বিশ্বযুদ্ধের ধকল কাটিয়ে পুনরায় ইউরোপের নব্য শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। কিন্তু কই গেল সেই সব বৈদেশিক অর্থ? "সবাই পায় সো...

পাকিস্তানে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানমালা

পাকিস্তানে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানমালাঃ ভোর ৬ টায় ২১টি আত্মঘাতী বোমা হামলার মধ্য দিয়ে শুভ সুচনা সকাল ৯ টায় আকর্ষনীয় গাড়িবোমা হামলা শো দুপুর ১২টায় মসজিদে বোমা হামলার মাধ্যমে জাতির মংগল কামনা বিকেল তিনটায় জঙ্গী টক শোঃ বিষয়ঃ বারেক ওবামা ও জঙ্গীবাদের সম্ভাবনা সন্ধ্যা ৬ টায় স্থলমাইন বিষ্ফোরন[আতশবাজি প্রদর্শনী] রাত ৯ টায় মতবিনিময় সভাঃ পৃথিবী ,জঙ্গীবাদ ,স্বাধীনতা এর সম্পর্ক রাত ১২ টায় মার্কিন ড্রোনহামলার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের অশুভ সমাপ্তি চলেন এই শুভ দিনে বলিঃ ফাকিস্তান জিন্দাবাদ...............

আমরা ক্রিকেটপ্রেমী

সাধারণ প্রেমিকরা রাতে স্বপ্নে দেখে- কার লগে ডেটিংয়ে গেসে, ও পাড়ার মাইয়াটা কত সুন্দর, পাশের বাড়ির আপুটার সাথে ফোনে কথা বলছে, তার গার্লফ্রেন্ড তাকে ফোনে " আলাবু" বলেছে ইত্যাদি ইত্যাদি। আর আমরা ক্রিকেটপ্রেমীরা রাতে স্বপ্ন দেখি- সাকিব এত রান করসে, তামিম এত রান করসে, নাসির কয়টা ছয় মারসে, মুশি কয়টা মারসে, গাজি কয়টা উইকেট নিলো, রাজ্জাক কয়টা পার্টনারশিপ ভাঙলো আর আমরা ভেন্ডিয়া-পাকিস্তানরে কত রানের ব্যাবধানে বাঁশ দিলাম। এর কারণ কি? কারণ ক্রিকেটকে আমরা ভালোবাসি, বাংলাদেশ ক্রিকেট আমাদের প্রথম প্রেম। আর প্রথম প্রেম কখনো ভোলা যায়না, হাজারবার ছ্যাক দিলেও না। তাইতো যতই ম্যাচ হারি, জিম্বাবুয়ে , স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড যার সাথে হারি না কেন কখনো গালি দিতে পারিনা…কখনো " ধুর্বাল, আর খেলাই দেখমুনা" বলতে পারিনা। কারণ…ওই যে…প্রথম প্রেম…কখনো ভোলা যায়না, হাজারবার ছ্যাক দিলেও না। এখন আমাদের ক্রিকেট একটা খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, খারাপ সময় বলতে মাঠের ক্রিকেট না মাঠের বাইরের ক্রিকেটে। ফিক্সিং কেলেঙ্কারীতে জড়িয়ে পড়ে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষি...
আই পি এল কেলেংকারীর সাথে জড়িত কোনো খেলোয়াড়দের শাস্তি না দিয়ে আকসু এসেছে আমাদের দেশের খেলোয়াড়দের জবাবদিহিতা করতে। এতেই প্রমান হয় আকসু হল ইন্ডিয়ার দালাল তা না হলে আকসু আগেই শ্রীশান্ত'দের বিচার করে ফেলত! শুনলাম বি পি এল এর ৯ জন খেলোয়ার ফিক্সিং এর সাথে জড়িত। ৭ জনের বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৫ বছর বা আরো বেশী সময় এর জন্যে ব্যান করা হতে পারে আশরাফুলকে! আমি চাই ফিক্সিং কেলেংকারী যদি সত্যি হয় তবে,শুধু আশরাফুল কে নয় ঢাকা গ্লাডিয়াটার্স এর মালিক সেলিমকেও তাঁদের খদ্দর দের কে'ও পিটিয়ে মারা উচিত যার কারণে এই দুঃসময় পার করতে হচ্ছে আমাদের ক্রিকেট দল কে! সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হল, ৯ জনের মধ্যে ফিক্সিং কেলেংকারী তে থাকতে পারেন সাকিব আল হাসান, মাশরাফি, দিলশানের মত বড় বড় খেলোয়াড়! হে আল্লাহ দুশমনদের হাত থেকে আমাদের ক্রিকেট দল কে বাঁচাও এক মাত্র তুমি বুঝবে যে, ক্রিকেট ছাড়া এই হতভাগা বাংলাদেশীদের গর্ব করার আর কিছুই নেই, কিছুই নেই, কিছুই নেই!

একটি বোন,একটি ফেলানী,একটি স্বপ্ন,একটি উপহার ও একটি মৃত্যু

ভাগ্যের সন্ধানে নুরু মিয়া পাড়ি জমিয়েছিল আধুনা বিশ্বের উদীয়মান শক্তি ভারতের দিল্লিতে। সাথে ছিল মেয়ে ফেলানী ও এক ছেলে। আদম পাচারকারীদের খপ্পরে পরে নুরু মিয়াকে কাজ নিতে হয়দিল্লির কোন এক ইটের ভাটায়। ফেলানীর বিয়ে ঠিক হওয়ায় স্বপরিবারে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় নুরু মিয়া। আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারে মই বেয়ে বাংলাদেশে প্রথম প্রবেশ করে সে। একই কায়দায় প্রবেশ করতে গিয়ে ফেলানীর কাপড় আটকে যায় কাঁটাতারে। ভয়ে চীৎকার করে উঠে সে। এবং সাথে সাথে গর্জে উঠে ভারতীয় বন্দুক। একটা গুলিই যথেষ্ট ছিল এই কিশোরীর জন্য। বেড়ার উপর ঝুলে পরে তার মৃতদেহ। চার ঘন্টা পর বিএসএফ এসে নিয়েযায়লাশ। শুধু ফেলানীর লাশই নয় সাথে নিখোঁজ হয় তার ভাই। একই দিন পশ্চিমবংগের মুর্শিবাদ জেলার মোহনগঞ্জসীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হয় আরও তিন বাংলাদেশি। ভারতীয় চাল, ডাল, তেল, লবন, সাবান ব্যবহার করে, তাদের সিনেমা আর টিভি সিরিয়ালে সর্বক্ষণ ডুবে থেকে আর তাদের ভাষা শয়নকক্ষে চর্চা করে প্রনব বাবুর ধাপ্পাবাজি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করা হবে স্রেফ আত্মপ্রতারণা। মুখে বন্ধু বললেও ওরা আসলেআমাদের উপর প্রভ...